ঢাকা   বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১০ আশ্বিন ১৪৩১
হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে

জাভেদ পরিবারের ভেল্কি

Daily Inqilab অর্থনৈতিক রিপোর্টার

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম

পতিত আওয়ামী সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের বলয় থেকে এখনো বের হতে পারেনি বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২৯ আগস্ট পরিচালনা পরিষদ পরিবর্তন করলেও নতুন বোর্ড এখন পর্যন্ত ব্যাংকটিতে জাভেদ পরিবারের অনিয়ম নিয়ে কথা বলেনি। অথচ জাভেদ পরিবার স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের সময়ে নামে-বেনামে বেপরোয়া ঋণ দিয়ে-নিয়ে ব্যাংকটিকে খাদের কিনারে নিয়ে গেছে। আওয়ামী সরকারের সময়ে দেশের প্রায় ৫০ শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বিশেষ কমিশনের বিনিময়ে ব্যাংক থেকে ১১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণের অর্থ ফেরত দিচ্ছে না। ব্যাংক ঋণ আদায়ও করতে পারছে না। দেশের চিহ্নিত কয়েকটি বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে ঋণের নামে ব্যাংকের টাকা বের করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ আছে জাভেদ পরিবারের বিরুদ্ধে। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যেই সম্পদ রয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও আরব আমিরাতসহ বিদেশেই প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার সম্পদের উৎস মিলেছে তার। যার বেশিরভাগই দেশ থেকে পাচার করেছেন। জাভেদ ছাড়াও ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি, স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরী, মেয়ে জেবা জামান এবং বোন রোকসানা জামান চৌধুরীর নের্তৃত্বে পরিবারটি অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংকটিকে খাদের কিনারে দাঁড় করিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক জাভেদ পরিবার থেকে ব্যাংকটিকে রক্ষায় নতুন বোর্ড গঠন করে দিলেও তারা অর্থপাচারসহ, বড় বড় ঋণের অনিয়ম নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেননি। তাই প্রশ্ন উঠেছে বর্তমান বোর্ডও কি তাহলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। অথচ একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বোর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। নতুন বোর্ড এসেই এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম মাসুদ কিভাবে লাখো কোটি টাকা হাতিয়েছে। পাশাপাশি মাসুদের বড় বড় ঋণ অনিয়মসহ সকল অপকর্ম তুলে ধরেছে জাতির সামনে। একইভাবে আইএফআইসি ব্যাংকের নতুন বোর্ডও সালমান এফ রহমানের ঋণ অনিয়মসহ অন্যান্য অনিয়ম তুলে ধরেছে। এছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংক বোর্ড ইতোমধ্যে সিকদার গ্রুপসহ ব্যাংকটি থেকে বড় বড় ঋণের নামে সকল অনিয়ম তুলে ধরছে জাতির সামনে। এদিকে ইউসিবি’র ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকও কিছুটা নিরব ভূমিকায় আছে। শুধুমাত্র বোর্ড ভেঙ্গে দিয়েই শেষ। পরবর্তীতে জাভেদ ও পরিবারের অর্থপাচার এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে এখনো দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এদিকে জাভেদ পরিবারের এসব অনিয়মের স্বাক্ষী ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ কাদরী। হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রথমে ছুটিতে বিদেশ থাকলেও ছুটি শেষ হওয়ার শেষ দিনে বিদেশে বসেই তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাই আরিফ কাদরীকেও দেশে এনে জাভেদ পরিবারের অনিয়ম ও অর্থ পাচার সম্পর্কে জাতির সম্পর্কে তুলে ধরা বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
আর্থিকখাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ ও তার পরিবার দেশের শত্রু। শুধুমাত্র ব্যাংক হিসাব জব্দেই সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। দেশের টাকা তারা বিভিন্নভাবে বিদেশে পাচার করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইউসিবি’র নতুন বোর্ডকে দ্রুত এসব অনিয়মের বিষয় জাতির সামনে তুলে ধরা দরকার। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে আইনী ব্যবস্থা নিয়ে এসব অর্থ উদ্ধারে ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ইউসিবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব কোম্পানির ঋণ হিসাবের সব তথ্য জেনেও রহস্যজনক কারণে সমঝোতার নীতিতে চলছে। অথচ এসব কোম্পানির মালিকদের আইনের আওতায় আনা ছাড়া জাভেদ-রনির অর্থ লোপাট ও পাচারের নেপথ্যে কারা তা উদঘাটন সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অবশ্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিদেশে থাকা সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর), কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইসি)। এরই মধ্যে তার আয়কর নথি সংগ্রহ করেছেন গোয়েন্দারা। তারা জানান, তথ্য গোপনের দায়ে বিদেশে থাকা সম্পদের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানার মুখে পড়তে পারেন সাবেক এ মন্ত্রী। এছাড়া শিগগিরই অর্থ পাচারের অভিযোগে জাবেদ ও তার স্ত্রীর নামে মামলা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেয়া হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র মতে, স্বৈরাচার হাসিনার ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং নিজে পতিত আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী হওয়ায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ ইউসিবিতে একক আধিপত্য বিস্তার করেছেন। নিজে মন্ত্রী হওয়ায় কখনো ব্যাংকটির চেয়ারম্যান বানিয়েছেন স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরীকে আবার বোন রোকসানা জামান চৌধুরীকে। এছাড়া বোর্ডে রেখেছিলেন নিজের ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি এবং পরিবারের অন্যান্যদের বোর্ডে রেখে কলকাঠি নেড়েছেন জাভেদ। প্রভাব বিস্তার করে বেপরোয়া ঋণ বিতরণ ও নামে-বেনামে ঋণ দিয়ে-নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে ব্যাংকটিকে দেউলিয়াত্বের দিকে নিয়ে গেছেন। বিদায়ি সরকার আমলে দেশের প্রায় ৫০ শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বিশেষ কমিশনের বিনিময়ে ব্যাংক থেকে ১১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণের অর্থ ফেরত দিচ্ছে না। ব্যাংক ঋণ আদায়ও করতে পারছে না। ফলে ওইসব ঋণ এখন খেলাপিযোগ্য। কিন্তু ব্যাংক রহস্যময় কারণে ওইসব ঋণকে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করছে না। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নিচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ ব্যাংকটির পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকার সময়ে এসব ঋণ দেয়া হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন অনিয়মের ঘটনাও এখন ধরা পড়ছে। আর এক্ষেত্রে অভিযোগ আছে মোটা অঙ্কের কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে ঋণের নামে এই টাকা ব্যাংক থেকে অনেকে সরিয়ে নিয়েছে। ঋণের টাকাসহ কমিশনের একটি বড় অংশ বিদেশে পাচার করেছে কেউ কেউ। ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের সীমা মানা হয়নি। অনেক প্রতিষ্ঠানকে সীমার চেয়ে বেশি ঋণ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের ঋণ গ্রহণের যোগ্যতা ও ব্যাংকের ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয়নি বলে সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে এসব অনিয়মে ইউসিবি ব্যাংকের গুলশান শাখা, করপোরেট শাখা, কাওরান বাজার শাখাকে ব্যবহার করে নজিরবিহীন অনিয়মের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়া হয়েছে। তাই এসব শাখার অডিট খুবই জরুরি।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ইউসিবি’র মোট ঋণের স্থিতি ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আলোচ্য ৫০ প্রতিষ্ঠান নিয়েছে ১১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ২০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এসব ঋণ আদায় না হওয়ায় ব্যাংকটি ঝুঁকিতে পড়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর এখন ব্যাংকগুলোতে তদারকি জোরদার করা হয়েছে। আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইঙ্গিতেই খেলাপি ঋণ গোপন করা হতো। এখন সেটি করা হবে না বলে গভর্নর ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও এখনো ইউসিবি’র খেলাপি ঋণের বিষয়ে কোন তথ্য সামনে আসেনি।
অবশ্য জাভেদ পরিবারের দেয়া ওইসব ঋণ খেলাপি করা হলে ব্যাংকটির খেলাপির অঙ্ক বেড়ে যাবে। এতে ব্যাংকের প্রভিশন সংরক্ষণের হারও বাড়বে। একই সঙ্গে বেড়ে যাবে মূলধন সংরক্ষণের হার। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। ক্ষমতার অপব্যবহার ও কমিশনের নামে দেওয়া ঋণ খেলাপি হলে ব্যাংকটি আরো সঙ্কটে পড়বে বলে মনে করছেন ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে জাভেদ পরিবারের অনিয়মের প্রভাব পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারবাজারেও। এখানেও অবিশ্বাস্য মূল্য হারিয়েছে ইউসিবি। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট এসেট ভেল্যু ২৯ দশমিক ৬১ টাকার বিপরীতে ভারতে হাসিনা পলায়নের পরের দিন গত ৬ আগস্ট শেয়ারের বাজার মূল্য ছিল ৯ দশমিক ৭০ টাকা। অর্থাৎ ১৯ দশমিক ৯১ টাকা বা ৬৭ দশমিক ২৪ শতাংশ কম। বিশ্লেষকরা এভাবে মূল্য হারানোর বিষয়টিকে অবিশ্বাস্য ও ভীতিকর বলেছেন। কারণ ব্যাংটির মোট এসেট ৬৮ হাজার ৫০১ কোটি টাকার মধ্যে ৪৬ হাজার ৬০ কোটি টাকাই মূল্য হারিয়েছে। যদিও গতকাল শেয়ারের বাজার মূল্য কিছুটা বেড়ে দাড়িয়েছে ১১ দশমিক ৭০ টাকায়।
অবশ্য ব্যাংকটির বর্তমান বোর্ডের একজন জানিয়েছেন, ঋণ নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না এমন অনেক কোম্পানিকে নতুন বোর্ড চিহ্নিত করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব অনিয়ম নিয়ে ব্যাংকে অডিট চলমান। এছাড়া ব্যাংক থেকে ফরেনসিক অডিটও করা হচ্ছে। ফরেনসিক অডিট সম্পন্ন হলে প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসবে। তখন এসব তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ জাতির সামনে তুলে ধরা হবে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হবে। তবে ব্যাংকটিতে বর্তমান নতুন বোর্ড দায়িত্ব নেয়ার পর এখনো তারল্য সঙ্কট দেখা দেয়নি বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পরিবারটি এস আলম গ্রুপ ও দেশের চিহ্নিত কয়েকটি বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে ঋণের নামে ব্যাংকের টাকা বের করে বিদেশে পাচার করেছে। এক যুক্তরাজ্যের আবাসন খাতেই জাভেদ বিনিয়োগ করেছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। বেআইনিভাবে ঋণ দিয়ে প্রাপ্ত কমিশনের টাকাও সেখানে তিনি বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকটি থেকে কমিশনের বিনিময়ে ঋণ দিয়েছেন এসএস স্টিলকে ৩০০ কোটি, বিবিএস গ্রুপকে ৩৪৫ কোটি, রূপায়ণ গ্রুপকে ৩৫০ কোটি, জেমকন গ্রুপকে ২৩৪ কোটি, ওমেক্স ইলেক্টরোডকে ২০০ কোটি, সিরাজ অ্যানো ইস্পাতকে ১৩২ কোটি, রুবী ফুডকে ১১৮ কোটি এবং ক্যাপিটাল বনানী ওয়ার্ল্ডকে ১০০ কোটি টাকা। এছাড়া আরও ৩৭টি কোম্পানি শতকোটি টাকার নিচে বিভিন্ন অঙ্কের ঋণ নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না। এ তালিকায় আছে গ্লোব ফিসারিজ, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যাল, গ্লোব এগ্রোভেট, এনাম হ্যাচারি অ্যান্ড ফিড, ইব্রাহীম এন্টারপ্রাইজ, রিলায়েবল ট্রেডিং, মাহবুব ব্রাদার্স, বেজ টেকনোলজি, দ্য বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েট, মামা-ভাগ্নে টিম্বার ট্রেডার্স, কিংশুক বহুমুখী সমবায় সমিতি, ডালিয়া করপোরেশন, ইউনাইটেড ট্রেডিং, রুদ্র ট্রেডিং, এশিয়া এন্টারপ্রাইজ, শানসাইন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মেঘনা ট্রেডার্স, মঞ্জুরুল ইসলাম চৌধুরী, মেসার্স আরএস এন্টারপ্রাইজ, জুম ইন্টারন্যাশনাল, ডিএইচ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশন, প্যাসিফিক অ্যাসেন্সিয়াল ফুড, ন্যাচারাল রাইস ব্র্যান্ড অয়েল কোম্পানি, প্রটেস্টার, রিসোর্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সার্ভিস, ট্রেডভিশন, স্প্যাস ওয়ার্কস ওয়াটার পার্ক, ইউনিভার্সাল গ্যাস অ্যান্ড গ্যাস সিলিন্ডার, রয়েল সি হর্স শিপিং, মেসার্স রোতি এন্টারপ্রাইজ, পিএইচ নেভিগেশন, ওরিয়ন টি কোম্পানি, মেসার্স তিস্তা ট্রেডিং সার্ভিস, টাঙ্গাইল হ্যাচারি ও ঈগোল রাইড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশন। এছাড়া ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখা থেকে সাইফ পাওয়ার টেক, বোরাক রিয়েল এস্টেট, প্রোটাস্টার, ম্যাকডোনাল্ড স্টিল বিল্ডিং প্রডাক্টস, প্রভিটা ফিস ফিড, সামা ট্রেডিং এজেন্সি, তমা কন্সট্রাকশনসহ আরো অনেক কোম্পানির নেয়া শত শত কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করা হচ্ছে না। এগুলো খেলাপি হিসাবেও ঘোষণা করা হচ্ছে না। #

 


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন বাইডেনের

বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন বাইডেনের

পাবর্ত্য চট্টগ্রামে দুর্গম পাহাড়ি সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন সেনা প্রধানের

পাবর্ত্য চট্টগ্রামে দুর্গম পাহাড়ি সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন সেনা প্রধানের

নিউইয়র্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

নিউইয়র্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

আম্মু তোমাকেও আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে

আম্মু তোমাকেও আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে

দেশের মাজার রক্ষা করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

দেশের মাজার রক্ষা করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য চীন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য চীন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

ক্ষোভ বাড়ছে ভারতে

ক্ষোভ বাড়ছে ভারতে

ভারতীয় সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেলেন ড. ইউনূস

ভারতীয় সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেলেন ড. ইউনূস

সোনারগাঁওয়ে তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা, আহত ৮

সোনারগাঁওয়ে তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা, আহত ৮

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য চায় পবিপ্রবির গ্রাজুয়েটবৃন্দ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য চায় পবিপ্রবির গ্রাজুয়েটবৃন্দ

হামজাকে পাওয়ার আরও কাছে বাংলাদেশ

হামজাকে পাওয়ার আরও কাছে বাংলাদেশ

বান্দরবানে জামাতুল আনসারের ৩১ সদস্য কে ৪ মামলায় জামিন

বান্দরবানে জামাতুল আনসারের ৩১ সদস্য কে ৪ মামলায় জামিন

সাগরে লঘুচাপ, চার সমুদ্রবন্দরে বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত

সাগরে লঘুচাপ, চার সমুদ্রবন্দরে বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত

সকল অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে -চকরিয়ায় নারী সমাবেশে বক্তারা

সকল অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে -চকরিয়ায় নারী সমাবেশে বক্তারা

সেনা কর্মকর্তা হত্যাকারীদের অবিলম্বে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে

সেনা কর্মকর্তা হত্যাকারীদের অবিলম্বে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে

অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি পঞ্চগড়ে

অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি পঞ্চগড়ে

আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

এবার প্রকাশ্যে এলো চবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক

এবার প্রকাশ্যে এলো চবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক

জাতিসংঘ মহাসচিবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ড. ইউনূস

জাতিসংঘ মহাসচিবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ড. ইউনূস

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি ছাড়াল ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি ছাড়াল ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা